১০ই জুন ২০২৩ বিশ্বকাপ জয়ী তারকা লিওনেল মেসি অষ্টোলিয়ার সাথে একটি প্রতি ম্যাচ খেলতে চীনে যায়। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারনে চীনা পুলিশ লিওনেল মেসি কে বিমানবন্দরেই আটকে দেয়। মজার ব্যাপার মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই মেসি ভিসা পেয়ে যায়। আপনি যদি মেসির জায়গায় হতেন তাহলে কি আপনি ৩০ মিনিটের মধ্যেই ভিসা পেয়ে যেতেন। উত্তর হলো না। তাহলে লিওনেল মেসি কে কেন ৩০ মিনিটেই ভিসা দেওয়া হলো? নিওলেন মেসি বিশ্বসেরা ফুটবলার এজন্য নাকি বিশ্বকাপ জয়ী তারকা এজন্য নাকি শুধুই ৯০ মিনিট ফুটবল খেলার জন্য নাকি লুকিয়ে আছে ভিন্ন কোন রহস্য। সেটাই জানতে ভিডিওর শেষ অব্দি দেখতে থাকুন। 

আমরা সবাই জানি, লিওনেল মেসি আর্জেটিনায় জন্মগ্রহণ করলেও বেড়ে উঠেছেন স্পেনে। এজন্য মেসির কাছে দুটি পাসপোর্ট থাকা স্বাভাবিক। লিওনেল মেসি মনে করতেন চীন এবং তাইওয়ান একই দেশ। যেহেতু স্পেনের পাসপোর্ট নিয়ে তাইওয়ানে  ভিসা ছারাই যাওয়া যায়। মেসি ভেবেছিলেন চীনেও স্পেনের পাসপোর্ট নিয়ে ভিসা ছাড়ায় যাওয়া যাবে সেজন্য মেসি আর্জেটিনার পাসপোর্টের পরিবর্তে স্পেনের পাসপোর্ট নিয়ে চীনে যায়। বিমান বন্দরে বসেই মেসি ভিসার জন্য আবেদন করেন এবং ভিসাও পেয়ে যান। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কেন লিওলেন মেসিকে কয়েক মিনিটে ভিসা দেওয়া হলো? 

লিওনেল মেসির ৯০ মিনিট খেলাটা মূর্খম বিষয় থাকলেও আসল খেলা হয় বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের। একটু অবাক হচ্ছে তাই তো চলুন বুজিয়ে বলছি। একটি ভিসা শুধু মাত্র একটি কাগজ ছাড়া বাস্তবে আর কিছুই নয়। একটি দেশ চাইলেই যেকোন ব্যাক্তিকে ভিসা দিতে পারে। কিন্তু লিওনেল মেসির মতো ৩০ মিনিটে চীনের ভিসা আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়তো পাবেন না।  মেসিকে সাথে সাথে ভিসা না দিলে কয়েক কোটি ডলার লস করতে হতো চীনা সরকারকে। 

মেসি শুধু মাত্র একজন ফুটবলার নয় একটা প্রতিষ্ঠানও বটে। মেসির পিছনে বিশ্বের নামী দামী কোম্পানীগুলো প্রতি মাসে কয়েক বিলিয় ডলার বিনিয়গ করে। মেসির ব্যাক্তিগত স্পন্সার (sponsor) এডিডাস (adidas) এর সাথে  1.5 বিলিয়ন ডলার চুক্তি আছে। যদি মেসি চীনে ৯০ মিনিট খেলতে না পারতেন তাহলে এডিডাসকে (adidas) কয়েক কোটি ডলার লস গুনতে হতো। ইনস্টাগ্রামে  প্রতি পোস্টে আর্জেন্টাইন মহাতারকার আয় ২২ কোটি টাকা।  ইনস্টাগ্রামে সর্বাধিক আয় করা প্রথম ২০ জনের মধ্যে মাত্র চারজন ক্রীড়াবিদ রয়েছেন। মেসি ভিসা না পেলে বড় ধরনের লস গুনতে হতো ইনস্টাগ্রামেকে। এছারা আরো অনেক বিশ্বের নামী দামী কোম্পানীও ছিলো এই তালিকায়। 

 মেসিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন কোম্পানী, ব্যাক্তি, স্পন্সারের (sponsor)  আগমন হয়ে থাকে চীনে সেখান থেকে ১০০ কোটি ডলার টিকিটের জন্য ৫০ কোটি ডলার লসের কারন হতে পারতো ছোট্ট  একটি কাগজের ভিসা জন্য।  আমরা টিভিতে বা গ্রালারি বসে মেসির খেলা দেখি কিন্তু বাস্তবে আড়ালে চলে কোটি কোটি ডলারের ব্যাবসা। লিওনেল মেসির একটি ভিসার জন্য কোটি কোটি ডলারের ক্ষতির শিকার হতে কে চাইবে বলুন তো। 

আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি সম্পর্কে এই তথ্যগুলো আপনার কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ড করে জানাবেন।